প্রতিযোগিতার
থ্রিজি মার্কেটে শীঘ্রই ৩.৭৫জি সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে টেলিটক।
সম্প্রতি টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো.
মুজিবুর রহমান একটি অনলাইন পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এ তথ্য
জানিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি টেলিটকের বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামীদিনের
পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
টেলিটক বাংলাদেশে প্রথম থ্রিজি আনলেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা পায়নি কেন তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, মূলত টেলিটক যখন থ্রিজি সেবা চালু করেছিল তখন অনেকেই থ্রিজি সম্পর্কে ভাল করে জানতে না।
এটি ছিল সবার জন্য নতুন প্রযু্ক্তি। তাই টেলিটকের ওপর দুটি দায়িত্ব ছিল। একটি হচ্ছে থ্রিজি সেবা চালু করা। অন্যটি হচ্ছে এ সম্পর্কে সবাইকে জানানো। সেক্ষেত্রে টেলিটক সফল বলে আমি মনে করি। কারণ, এখন প্রায় সবাই থ্রিজি সম্পর্কে কমবেশি জানেন।
অন্যদিকে, থ্রিজি ব্যবহার করার মত টার্মিনাল ইক্যুইপমেন্ট (সরঞ্জামাদি) বা মোবাইল সেট অপ্রতুল ছিল। বাজারে থ্রিজি ব্যবহার উপযোগী স্মার্টফোনের উচ্চমূল ছিল। যার কারণে, সবার পক্ষে থ্রিজি ব্যবহার সম্ভব ছিল না।
এটা বলছি গত বছরের অক্টোবরের কথা। তবে প্রায় একবছরের ব্যবধানে এখন স্মার্টফোন অনেক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও স্মার্টফোন তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রাহক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, সেবার মান বৃদ্ধিসহ নানা ক্ষেত্রে খুব একটা সাফল্য দেখাতে পারেনি টেলিটক, এটি সত্য। কিন্তু পরবর্তীতে সম্প্রসারণ প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দে গতি ফিরে আসে টেলিটকের।
সবার আগে থ্রিজি সেবা চালুর সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাঁচ লাখ নতুন গ্রাহক পেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টেলিটক। আর সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ গ্র্হক সেবা নিশ্চিত করার দ্রুততম পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।
টেলিটকের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে আমাদের বিটিএসের (নেটওয়ার্ক টাওয়ার) সংখ্যা অনেক কম ছিল। এখন আমরা বিটিএস প্রতিদিন বাড়াচ্ছি।
আগে যেখানে আমাদের বিটিএস ছিল মাত্র ৬৩০টি এখন সেখানে ৩০০০ বিটিএস যুক্ত হয়েছে টেলিটকের নেটওয়ার্কে। আরো এক থেকে দেড় হাজার বিটিএস যোগ হবে।
আগে যেখানে আমাদের সুইচিং ক্যাপাসিটি ছিল মাত্র আড়াই লাখ এখন তা প্রায় এক কোটি। আমাদের সব লিংক আমরা আপগ্রেড করেছি।
প্রিপেইড এবং পোস্ট পেইডে এখন আমরা কম্বাইন্ড বিলিং সিস্টেম চালু করেছি, যার ফলে আমরা একই রকম সেবা প্রিপেইড এবং পোস্ট পেইডে দিতে পারব, যা অন্য অপারেটরদের পক্ষে সম্ভব না।
আমাদের ভয়েস কলের মান ল্যান্ডফোনের কাছাকাছি চলে এসেছে, যা অন্য অপারেটররা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের একটি বিশাল এলাকা আমরা থ্রিজি কভারেজের মধ্যে নিয়ে এসেছি। থ্রিজি চালুর আগে আমাদের ১৪ থেকে ১৫ লাখ গ্রাহক ছিল, এখন ২০ লাখ হয়ে গেছে।
আশা করছি ডিসেম্বর নাগাদ ২৫ লাখ হবে। বর্তমানে ৫ লাখের মতো থ্রিজি গ্রাহক রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বলা যায় ২৫ শতাংশ। এটা ভারতের চেয়েও অনেক ভালো প্রবৃদ্ধি।
এদিকে সম্প্রতি দেশে থ্রিজি নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গ্রামীণফোন ৩জি, রবি ৩.৫জি ঘোষণা দেওয়ার পর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, টেলিটক এতদিন ৩.৫জি সেবা দিতো। আমরা খুব শীঘ্রই এটাকে উন্নত করে ৩.৭৫জি সেবা দিবো।
টেলিটক বাংলাদেশে প্রথম থ্রিজি আনলেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা পায়নি কেন তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, মূলত টেলিটক যখন থ্রিজি সেবা চালু করেছিল তখন অনেকেই থ্রিজি সম্পর্কে ভাল করে জানতে না।
এটি ছিল সবার জন্য নতুন প্রযু্ক্তি। তাই টেলিটকের ওপর দুটি দায়িত্ব ছিল। একটি হচ্ছে থ্রিজি সেবা চালু করা। অন্যটি হচ্ছে এ সম্পর্কে সবাইকে জানানো। সেক্ষেত্রে টেলিটক সফল বলে আমি মনে করি। কারণ, এখন প্রায় সবাই থ্রিজি সম্পর্কে কমবেশি জানেন।
অন্যদিকে, থ্রিজি ব্যবহার করার মত টার্মিনাল ইক্যুইপমেন্ট (সরঞ্জামাদি) বা মোবাইল সেট অপ্রতুল ছিল। বাজারে থ্রিজি ব্যবহার উপযোগী স্মার্টফোনের উচ্চমূল ছিল। যার কারণে, সবার পক্ষে থ্রিজি ব্যবহার সম্ভব ছিল না।
এটা বলছি গত বছরের অক্টোবরের কথা। তবে প্রায় একবছরের ব্যবধানে এখন স্মার্টফোন অনেক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও স্মার্টফোন তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রাহক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, সেবার মান বৃদ্ধিসহ নানা ক্ষেত্রে খুব একটা সাফল্য দেখাতে পারেনি টেলিটক, এটি সত্য। কিন্তু পরবর্তীতে সম্প্রসারণ প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দে গতি ফিরে আসে টেলিটকের।
সবার আগে থ্রিজি সেবা চালুর সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাঁচ লাখ নতুন গ্রাহক পেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টেলিটক। আর সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ গ্র্হক সেবা নিশ্চিত করার দ্রুততম পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।
টেলিটকের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে আমাদের বিটিএসের (নেটওয়ার্ক টাওয়ার) সংখ্যা অনেক কম ছিল। এখন আমরা বিটিএস প্রতিদিন বাড়াচ্ছি।
আগে যেখানে আমাদের বিটিএস ছিল মাত্র ৬৩০টি এখন সেখানে ৩০০০ বিটিএস যুক্ত হয়েছে টেলিটকের নেটওয়ার্কে। আরো এক থেকে দেড় হাজার বিটিএস যোগ হবে।
আগে যেখানে আমাদের সুইচিং ক্যাপাসিটি ছিল মাত্র আড়াই লাখ এখন তা প্রায় এক কোটি। আমাদের সব লিংক আমরা আপগ্রেড করেছি।
প্রিপেইড এবং পোস্ট পেইডে এখন আমরা কম্বাইন্ড বিলিং সিস্টেম চালু করেছি, যার ফলে আমরা একই রকম সেবা প্রিপেইড এবং পোস্ট পেইডে দিতে পারব, যা অন্য অপারেটরদের পক্ষে সম্ভব না।
আমাদের ভয়েস কলের মান ল্যান্ডফোনের কাছাকাছি চলে এসেছে, যা অন্য অপারেটররা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের একটি বিশাল এলাকা আমরা থ্রিজি কভারেজের মধ্যে নিয়ে এসেছি। থ্রিজি চালুর আগে আমাদের ১৪ থেকে ১৫ লাখ গ্রাহক ছিল, এখন ২০ লাখ হয়ে গেছে।
আশা করছি ডিসেম্বর নাগাদ ২৫ লাখ হবে। বর্তমানে ৫ লাখের মতো থ্রিজি গ্রাহক রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বলা যায় ২৫ শতাংশ। এটা ভারতের চেয়েও অনেক ভালো প্রবৃদ্ধি।
এদিকে সম্প্রতি দেশে থ্রিজি নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গ্রামীণফোন ৩জি, রবি ৩.৫জি ঘোষণা দেওয়ার পর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, টেলিটক এতদিন ৩.৫জি সেবা দিতো। আমরা খুব শীঘ্রই এটাকে উন্নত করে ৩.৭৫জি সেবা দিবো।
No comments:
Post a Comment